টাকা-স্বর্ণের জন্যই আফরোজাকে খুন করে হৃদয়

রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় আফরোজা সুলতানাকে (৩২) গলা কেটে হত্যা করেন তারই গাড়িচালক। স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

 

বুধবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

 

সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড, গুলশান-২, ঢাকায় কর্মরত এমআইএস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার আফরোজা সুলতানা। মাত্র দু’মাস আগে গত জানুয়ারিতে বিয়ে করে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি বাসায় উঠেছিলেন আয়ান-আফরোজা দম্পতি। আফরোজার স্বামীও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

dv1

গত ১৩ মার্চ ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন আফরোজা। লিফট দিয়ে উঠে যান দোতলার নিজ ফ্ল্যাটে। কিছুক্ষণ পর গাড়িচালক হৃদয় বেপারী উপরে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাকে নিচে নেমে আসতে দেখা যায়। এর ১৫-২০ মিনিট পরই বাসায় ফিরে বাথরুমে স্ত্রী আফরোজার গলাকাটা মরদেহ আবিষ্কার করেন আয়ান।

 

ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, হৃদয় বেপারীর বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট। রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের গাড়িচালক আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর সে কিভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত এবং স্বর্ণালংকার চুরি করেছে তা দেখিয়ে দেয়। তার দেওয়া তথ্যে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও হৃদয়ের বাসার পাশে বালুর নিচে লুকিয়ে রাখা চুরি করা স্বর্ণালংকারসহ সংশ্লিষ্ট আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।

dv1

হাফিজ আক্তার জানান, গ্রেফতার হৃদয় বেপারী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ২০০৫ সালে ড্রাইভিং শিখে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করে। সর্বশেষ ২০১৫ থেকে সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেডে কাজ করে সে।

 

ডিবিপ্রধান জানান, আফরোজার গাড়িচালক হৃদয় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। এরইমধ্যে তার তিনমাসের বাসাভাড়া বাকি পড়েছে। অভাবে পড়ে এক পর্যায়ে কিছু টাকা হলে দূরে কোথাও গিয়ে অন্য ব্যবসা করে সংসার চালানোর ভাবনা মাথায় আসে তার। ধারণা ছিল, তার ম্যাডামের (আফরোজার) কাছে অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে। কারণ সে প্রায়ই ভিকটিম আফরোজা সুলতানাকে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে দেখতো। এরপরই টাকা ও স্বর্ণালংকারের জন্য আফরোজাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। মূলত অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই আসামি হৃদয় ব্যাপারী এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।

সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রাজনীতিকে আমরা পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখি : মামুনুল হক

» যুক্তরাষ্ট্রে গরুর মাংসের দাম রেকর্ড বেড়েছে যে কারণে

» জুলাই গণঅভ্যুত্থান রুখে দাঁড়াবার এক মহাকাব্য : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

» রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিবেশকে আনতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা

» ওয়াকফ এস্টেটগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা

» যারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই : কাদের সিদ্দিকী

» সুযোগ কাজে না লাগাতে পারলে ‘যেই লাউ, সেই কদু’ হবে: রেজাউল করীম

» জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

» ৪-৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা

» বগুড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে পরিচিতি সভা ও মত-বিনিময়কালে সাবেক এমপি লালু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

টাকা-স্বর্ণের জন্যই আফরোজাকে খুন করে হৃদয়

রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় আফরোজা সুলতানাকে (৩২) গলা কেটে হত্যা করেন তারই গাড়িচালক। স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

 

বুধবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

 

সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড, গুলশান-২, ঢাকায় কর্মরত এমআইএস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার আফরোজা সুলতানা। মাত্র দু’মাস আগে গত জানুয়ারিতে বিয়ে করে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি বাসায় উঠেছিলেন আয়ান-আফরোজা দম্পতি। আফরোজার স্বামীও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

dv1

গত ১৩ মার্চ ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন আফরোজা। লিফট দিয়ে উঠে যান দোতলার নিজ ফ্ল্যাটে। কিছুক্ষণ পর গাড়িচালক হৃদয় বেপারী উপরে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাকে নিচে নেমে আসতে দেখা যায়। এর ১৫-২০ মিনিট পরই বাসায় ফিরে বাথরুমে স্ত্রী আফরোজার গলাকাটা মরদেহ আবিষ্কার করেন আয়ান।

 

ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, হৃদয় বেপারীর বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট। রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের গাড়িচালক আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর সে কিভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত এবং স্বর্ণালংকার চুরি করেছে তা দেখিয়ে দেয়। তার দেওয়া তথ্যে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও হৃদয়ের বাসার পাশে বালুর নিচে লুকিয়ে রাখা চুরি করা স্বর্ণালংকারসহ সংশ্লিষ্ট আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।

dv1

হাফিজ আক্তার জানান, গ্রেফতার হৃদয় বেপারী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ২০০৫ সালে ড্রাইভিং শিখে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করে। সর্বশেষ ২০১৫ থেকে সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেডে কাজ করে সে।

 

ডিবিপ্রধান জানান, আফরোজার গাড়িচালক হৃদয় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। এরইমধ্যে তার তিনমাসের বাসাভাড়া বাকি পড়েছে। অভাবে পড়ে এক পর্যায়ে কিছু টাকা হলে দূরে কোথাও গিয়ে অন্য ব্যবসা করে সংসার চালানোর ভাবনা মাথায় আসে তার। ধারণা ছিল, তার ম্যাডামের (আফরোজার) কাছে অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে। কারণ সে প্রায়ই ভিকটিম আফরোজা সুলতানাকে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে দেখতো। এরপরই টাকা ও স্বর্ণালংকারের জন্য আফরোজাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। মূলত অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই আসামি হৃদয় ব্যাপারী এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।

সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com